প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের বুকে একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের স্থান হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এই দেশটি বিশ্বের যেকোন দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য পছন্দের লক্ষ্য হতে পারে। এসময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে বর্ধিত বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য প্রয়োজনে বিনিয়োগকারীদের বিশেষ জোন করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (১০ মে) গণভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের সভায় এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে সকলে খুশি। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য দেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হয়েছে। মার্কিন বিনিয়োগকারীরা যদি আগ্রহ প্রকাশ করেন, তবে তাদের জন্য আলাদা একটি অঞ্চল বরাদ্দ দেওয়া হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়া আমাদের লক্ষ্য। এ জন্য আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিনিয়োগ প্রয়োজন।

বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ভৌত পরিকাঠামোর পাশাপাশি আমরা বিনিয়োগ ও ব্যবসা সংক্রান্ত নিয়ম-কানুনের মানোন্নয়ন ও সহজ করেছি। দক্ষিণ এশিয়র মধ্যে সবচেয়ে উদার এবং সুরক্ষিত বিনিয়োগে নীতি বাংলাদেশের। আমরা সারা দেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছি। মার্কিন বিনিয়োগকারীরা যদি আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে এই অঞ্চলগুলো থেকে একটি বরাদ্দ দেওয়া হবে।

কম মজুরিতে দক্ষ মানব সম্পদ দেওয়ার আশ^াস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক অভিন্ন মূল্যবোধ ও স্বার্থের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্টক্রে বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে অ্যাখ্যা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি মার্কিন সংস্থাগুলি বাংলাদেশের দেয়া সুবিধা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ ও শক্তি, আইসিটি, অবকাঠামো, হালকা প্রকৌশল পণ্য, মোবাইল ফোন এবং বৈদ্যুতিক পণ্য, অটোমোবাইল, কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিকের মতো সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগ বাড়াবে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী মার্কিন ব্যবসায়ীদের দেশের ব্যবসা এবং বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে আশ্বস্ত করেন। প্রস্তাবিত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ডিজিটাল ইকোনমি টাস্কফোর্স টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।